চে গুয়েভারার ডায়েরি (হার্ডকভার)
চে গুয়েভারার ডায়েরি (হার্ডকভার)
৳ ৩৫০   ৳ ২৯৮
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

চে গুয়েভারার ডায়েরি: গেরিলা যুদ্ধের এক অনবদ্য দলিল
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা (১৪ জুন, ১৯২৮-৯ অেেক্টাবর ১৯৬৭) ছিলেন একজন আর্জেন্টেনীয় মাক্সবাদী বিপ্লবী, চিকিৎসক, কবি, লেখক, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবীদ এবং সামরিক তত্ত্ববিদ। কিউবা বিপ্লবের অন্যতম প্রধান রূপকার ছিলেন তিনি। তাঁর প্রকৃত নামছিল এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না। ডাক নাম তেতো। তবে তিনি সারা বিশে^ চে গুয়েভারা, লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই পরিচিত। তিনি নিজেকে একজন মেধাবী, নির্ণায়ক, সাহসী এবং সফল বিগ্রেড কমা-ার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ইতিহাসের এক নন্দিত চরিত্র হিসেবে বিভিন্ন জীবনী, স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ, তথ্যচিত্র, গান ও চলচ্চিত্রে চে’র চরিত্রের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক সচেতন এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা গুয়েভারা লিঞ্চ ছিলেন একজন স্থাপত্যবিদ। মা সেলিয়া ডি লা সের্না ছিলেন নারীবাদী এবং সর্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি বেড়ে উঠেছিলেন এমনই এক পরিবারে, বাম রাজনীতির প্রতি ছিল যাদের প্রবল ঝোঁক এবং তখন থেকেই চে গুয়েভারা এক বিশাল রাজনৈতিক পরিম-লের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। খুব ছোটবেলা থেকেই সমাজের বঞ্চিত, অসহায় ও হতদরিদ্রদের প্রতি ছিল তাঁর গভীর মমত্ববোধ। যুবক বয়সে মেডিসিন বিষয়ে পড়ার সময়ে চে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। দীর্ঘ এ মোটরসাইকেল ভ্রমণে চে একদিকে যেমন দেখেন নি¤œশ্রেণির মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, বঞ্চনা, নিপীড়ন আর অন্যদিকে দেখেন শাসকের শোষণ ও নির্যাতন। যা তাকে অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুধাবন করার সুযোগ এনে দেয়। চে বুঝতে পারেন ধনী-গরিবের এই ব্যবধান ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বিপ্লব ছাড়া কোনো উপায় নেই। তখন থেকেই তিনি মার্ক্সবাদ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সে সময় তিনি কার্ল মার্ক্স, ভøাদিমির, লেলিন, রবার্ট ফ্রস্টের বইও পড়েছেন। কোনো ধর্মে বিশ^াসী না হয়ে এভাবেই নিজেকে একজন সমাজসচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি উপলবদ্ধি করেছিলেন, এই সকল মানুষের সাহায্য করতে হলে তাকে চিকিৎসা পেশা ছেড়ে সশস্ত্র সংগ্রামের রাজনৈতিক পথটাকেই বেছে নিতে হবে। বিপ্লবের অগ্নি পুরুষ ও গেরিলা নেতা চে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন মাথা উঁচু করে।
বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম চে গুয়েভারা। স্বপ্ন দেখতেন এমন এক পৃথিবীর যেখানে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নেই’- এ প্রবাদটি প্রাণ পাবে। জগতের কল্যাণে কিছু একটা করার তাগিদটা মনের ভেতর শেকড় গেড়েছিল বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। তিনি মনে প্রাণে বিশ^াস করতেন বিপ্লব ছাড়া মুক্তি সম্ভব নয়। স্বপ্ন ছিল লাতিন আমেরিকার গ-ি পেরিয়ে বিপ্লবের ঝা-া হাতে নিয়ে ঘুরবেন দেশ থেকে দেশে, মুক্তিকামীদের একজন হয়ে সারা বিশ^কে নিপীড়ন থেকে মুক্ত করবেন, মানুষে মানুষে সাম্য প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি সা¤্রাজ্যবাদের ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করবেন সকল দেশকে কারণ সারা বিশ^কেই তিনি নিজের স্বদেশ বানিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে যোগ দিলেন কিউবা বিপ্লবে। কিউবার সফল বিপ্লবের পর চে কিউবার মন্ত্রী হন। শুধু মন্ত্রী নন, সারা পৃথিবীর কাছে এক মহানায়ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তাঁর দেশ তো আমেরিকা। তিনি লাতিন আমেরিকার নিপীড়িত মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে সবসময় প্রস্তুত ছিলেন। আবারো নামলেন পাহাড়-জঙ্গলে দুরন্ত গেরিলার লড়াকু জীবনে। কঙ্গোতে ব্যর্থ বিপ্লবের পর চে বলিভিয়ায় যান। চে’র জীবনের শেষের দিনগুলো কেটেছে বলিভিয়ার পাহাড় আর জঙ্গলে। ৭ নভেম্বর ১৯৬৬ থেকে ৭ অক্টোবর ১৯৬৭ সালের প্রতিটি দিনের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে চেগুয়েভারার ডায়েরি’তে। এগারো মাসের সশস্ত্র বিপ্লবের সময় জুড়ে যে নারকীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে গেরিলা বাহিনীকে তার অনন্য দলিল এই ডায়েরি। নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সুতীব্র আকাক্সক্ষায় সদালড়াকু এক বিপ্লবীর জীবনের শেষ দিনগুলো কিভাবে কেটেছে তা লিপিবদ্ধ হয়েছে ডায়েরির পাতায়। এই ডায়েরিতে রাজনৈতিক আলাপ প্রায় নেই বললেই চলে। চে কেবল গেরিলা বাহিনীর পথচলা, কর্মপরিকল্পনা এবং ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই ডায়েরি লিখেছেন। ডায়েরির শেষ লেখাটা চে লিখেছেন রাত ২টা থেকে ভোর ৪ টার মধ্যে। চে’র মৃত্যু এই ডায়েরির অংশ নয়। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি ডায়েরি লিখেছেন। ১৯৬৮ সালের জুন মাসেহাভানা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় এ ডায়েরিটি। সভ্যতা স্থাপনের পর থেকেই যুগে যুগে শাসক এবং শোষকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে নিপীড়িত মানুষেরা। সময়ের প্রয়োজনে স্বাধীনতাকামী মানুষকে বেছে নিতে হয়েছে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ। ভবিষ্যতের সকল সশস্ত্র বিশেষত গেরিলা সংগ্রামের জন্য চে’র ডায়েরি এক প্রেরণা। চে গুয়েভারার ডায়েরি’তে আমরা দেখি চে বলিভিয়ার সংগ্রামের প্রতিদিনের ঘটনা প্রতিদিন নিখুঁতভাবে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি প্রতি মাসের শেষে ঐ মাসের উপর একটি সার্বিক বিশ্লেষণও লিখে রাখতেন। তিনি কিছুটা কৌশল অবলম্বন করে ডায়েরি লিখতেন যাতে শত্রু পক্ষের হাতে ধরা পড়লেও এখান থেকে তারা যেন খুব বেশি বা গোপনীয় তথ্যগুলো উদ্ধার করতে না পারে। ডায়েরির লেখক চে নিজে হলেও তাঁর সম্পর্কে খুব একটা লেখা পাওয়া যায় না ডায়েরিতে। তিনি ডায়েরি লিখেছেন নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে।

Title : চে গুয়েভারার ডায়েরি
Author : আর্নেস্তো চে গুয়েভারা
Editor : নূর মোহাম্মদ রাজু
Publisher : কলি প্রকাশনী
ISBN : 9789849746638
Edition : 1st Published, 2023
Number of Pages : 256
Country : Bangladesh
Language : Bengali

জন্ম ১৪ জুন, ১৯২৮ – মৃত্যু ৯ অক্টোবর, ১৯৬৭। তিনি ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিত্সক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না (স্পেনীয়: Ernesto Guevara de la Serna)। তবে তিনি সারা বিশ্ব লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই পরিচিত। মৃত্যুর পর তাঁর শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়। তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের সর্বব্যাপী দারিদ্র্য তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। এই ভ্রমণকালে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই অঞ্চলে বদ্ধমূল অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল বিশ্ব বিপ্লব। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে চে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। পরবর্তীকালে মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তাঁর সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাঁদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলগেনসিও বাতিস্তা উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন। অনতিবিলম্বেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং বাতিস্তা সরকারকে উত্খাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিউবার বিপ্লবের পর চে নতুন সরকারে একাধিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিপ্লবী আদালতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের আপিল পুনর্বিবেচনা ও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড প্রদান, শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী হিসেবে খামার সংস্কার আইন প্রবর্তন, কিউবার জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক বাহিনীর ইনস্ট্রাকশনাল ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন, এবং কিউবান সমাজতন্ত্রের প্রচারে বিশ্বপর্যটন। এই পদাধিকারের কল্যাণে তিনি মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ পান; ফলত এই বাহিনী পিগস উপসাগর আক্রমণ করে তা পুনর্দখলে সক্ষম হয়। কিউবায় সোভিয়েত পরমাণুব্যালিস্টিক মিসাইল আনার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। চে ছিলেন এক বিশিষ্ট লেখক ও ডায়েরি-লেখক। গেরিলা যুদ্ধের উপর তিনি একটি প্রভাবশালী ম্যানুয়েল রচনা করেন। তরুণ বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোটরসাইকেলে ভ্রমণের স্মৃতিকথাটিও তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় রচনা। বৃহত্তর বিপ্লবে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৬৫ সালে কিউবা ত্যাগ করেন। প্রথমে কঙ্গো-কিনসহাসায় তাঁর বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি বলিভিয়ায় বিপ্লবে অংশ নেন। এখানেই সিআইএ-মদতপুষ্ট বলিভিয়ান সেনার হাতে বন্দী ও নিহত হন চে। চে গেভারা একাধারে ইতিহাসের এক নন্দিত ও নিন্দিত চরিত্র। বিভিন্ন জীবনী, স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ, তথ্যচিত্র, গান ও চলচ্চিত্রে তাঁর চরিত্রের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। আবার গেরিলেরো হেরোইকো নামে আলবের্তো কোর্দার তোলা চে-র বিখ্যাত ফটোগ্রাফটিকে "বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ ফটোগ্রাফ" হিসেবে ঘোষিত।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]